পোস্টগুলি

জেলে ত্রিশ বছর

ছবি
  জেলে ত্রিশ বছর ব্রিটিশ: পাক-ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস মূল্য: ৭০০/= জেলে ত্রিশ বছর ব্রিটিশ: পাক-ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস হচ্ছে ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী রচিত আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ। বইটি ১৯৫৩ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে লেখক নিজেই প্রকাশ করেন। বইটির তৎকালীন একমাত্র বিক্রয় পরিবেশক ছিলেন প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক মোহাম্মদ নাসির আলীর প্রতিষ্ঠিত নওরোজ। জেলে ত্রিশ বছর বইটি তদানীন্তন পাকিস্তান সরকার নিষিদ্ধ ও বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করে। এই বইয়ে আন্দামানের সেলুলার জেলের বন্দিদের জীবনের মর্মস্পর্শী বিবরণ আছে। আন্দামানের বন্দি জীবন ছিলো অমানবিক ও দুঃসহ। প্রায় জনমানবহীন দ্বীপের মধ্যে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছোট ছোট সেলে আবদ্ধ থাকার সশ্রম দণ্ডে অনেকেই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলতেন, কেউ কেউ আত্মহত্যা পর্যন্ত করতেন।             উক্ত বইটিতে তার সংগৃহীত ৩২০ জন বিপ্লবী ও স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আলোকচিত্র আছে। এর সাথে আছে বহু বিপ্লবীর নাম, নিবাস, সংক্ষিপ্ত পরিচয় ও বিপ্লবী কর্মকান্ডের বিবরন। ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম আকর গ্রন্থ হিসেবে এই...

মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী / ড. মজহারুল ইসলাম

ছবি
    মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী মূল্য : ৫০০/= ২৫% কমিশন বাদে মূল্য : ৩৭৫/=   বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পুরো নয় মাস ধরে যে বুদ্ধিজীবীদের ধরে ধরে হত্যা করা হচ্ছিল, ধারণা করা হয় তার মূল পরিকল্পনা করেছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ একজন কর্মকর্তা রাও ফরমান আলী। যদিও পরবর্তীতে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন তিনি। কিন্তু যুদ্ধ শেষ হবার পর রাও ফরমান আলীর একটি ডায়েরি পাওয়া গিয়েছিল, যেখানে বাংলাদেশের অনেক বুদ্ধিজীবীর নাম ছিল। বাংলাদেশের প্রখ্যাত একজন ইতিহাসবিদের বক্তব্য, বুদ্ধিজীবীদের ধরে ধরে হত্যা করার জন্য রীতিমত নির্দেশনা দিয়েছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক কমাণ্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল নিয়াজি। অবশ্য ইতিহাসবিদ ও গবেষকরা এও বলছেন যে, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধকালীন বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড নিয়ে তেমন কোন গবেষণা হয়নি, ফলে এসব তথ্য সম্পর্কে নিঃসন্দেহ হওয়া যায় না। যুদ্ধের পুরো নয় মাস ধরে বুদ্ধিজীবীদের ধরে ধরে হত্যা করা হলেও ষোলই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে বিজয় দিবসের দিনকয়েক আগে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ও তার সহযোগীদের শেষ আঘাতটি ছিল বাঙালী বুদ্ধিজীবীদের তালিকা ...

বিদেশী সাংবাদিকের চোখে বঙ্গবন্ধু ও আগরতলা মামলা / শ্যামল বসু

ছবি
  বিদেশী সাংবাদিকের চোখে বঙ্গবন্ধু ও আগরতলা মামলা শ্যামল বসু মূল্য : ৩৫০/= ২৫% কমিশন বাদে মূল : ২৬২.৫০/= বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী চেতনাকে জাতিসত্তায় পরিণত ও জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। বিশেষ করে বাঙালির স্বায়ত্তশাসনসহ ছয় দফা দাবি থেকে সৃষ্ট ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, '৭০ সালের নির্বাচন এবং '৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের অবিস্মরণীয় ঘটনাগুলোর সংবাদ সংগ্রহ করার জন্য বিশ্বখ্যাত গণমাধ্যমগুলো তাদের প্রতিনিধি ঢাকায় প্রেরণ করে। যুক্তরাষ্ট্রের দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট, টাইম ম্যাগাজিন, দ্য টাইমস, ইভিনিং স্টার, লন্ডন অবজারভার, বিবিসি একাধিক সাংবাদিক পাঠায়। ফলে এসব গণমাধ্যমে উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন এবং পরবর্তী রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের ওপর সরেজমিন প্রতিবেদন যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হয়।  একাত্তরের মার্চের উত্তাল দিনগুলোতে একটি রাষ্ট্রের স্বাধীনতা লাভের আগেই পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নির্দেশে কোর্ট, কাচারি, সরকারি অফিস পরিচালিত হওয়ার ঘটনা প্রত্যক্ষ করে তারা সংবাদ প্রকাশ করে। বা...

প্রেমের কবিতা / দাউদ হায়দার

ছবি
    প্রেমের কবিতা দাউদ হায়দার মূল্য : ২৫০/= ২৫% কমিশন বাদে মূল : ১৮৭.৫০/=   কবি দাউদ হায়দার ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পাবনা জেলাতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৪ সালে নির্বাসিত হন তিনি। বর্তমানে জার্মানিতে বসবাস করছেন। তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে জন্মই আমার আজন্ম পাপ, সম্পন্ন মানুষ নই, যে দেশে সবাই অন্ধ প্রভৃতি। একজন দাউদ হায়দার ও ‘জন্মই আমার আজন্ম পাপ’ দাউদ হায়দার একজন বাংলাদেশি বাঙালি কবি, লেখক ও সাংবাদিক। যিনি ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে দেশ থেকে নির্বাসনের পর বর্তমানে জার্মানিতে নির্বাসিত জীবন যাপন করছেন। তিনি বর্তমানে একজন ব্রডকাস্টিং সাংবাদিক। দাউদ হায়দার সত্তর দশকের একজন আধুনিক কবি। তাঁর বিখ্যাত কাব্যের নাম ‘জন্মই আমার আজন্ম পাপ’। সত্তর দশকের শুরুর দিকে দাউদ হায়দার দৈনিক সংবাদের সাহিত্য পাতার সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৩ সালে লন্ডন সোসাইটি ফর পোয়েট্রি দাউদ হায়দারের কোন এক কবিতাকে “দ্যা বেস্ট পোয়েম অব এশিয়া” সম্মানে ভুষিত করেছিল। সংবাদের সাহিত্যপাতায় 'কালো সূর্যের কালো জ্যোৎসায় কালো বন্যায়' নামে একটি কবিতা লিখেছিলেন। ধারণা করা হয়ে থাকে, তাঁর ওই কবিতায় হযরত মুহাম্মদ (স...

মির্জা গালিব বাংলায়ণ / মোহাম্মদ মাহবুব আলী

ছবি
  মির্জা গালিব বাংলায়ণ : মোহাম্মদ মাহবুব আলী মূল্য : ৩৫০/= ২৫% কমিশন বাদে মূল : ২৬২.৫০/=     মির্জা গালিব জীবনী– গালিব কখনো তার জীবিকার জন্য কাজ করেননি। সারা জীবনই তিনি হয় রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অথবা ধার কর্য করে নতুবা কোনো বন্ধু উদারতায় জীবন যাপন করেন। মির্জা গালিব এর খ্যাতি আসে তার মৃত্যুর পর। মির্জা গালিব তার নিজের সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন যে, তিনি বেঁচে থাকতে তার গুণকে কেউ স্বীকৃতি না দিলেও, পরবর্তী প্রজন্ম তাকে স্বীকৃতি দিবে। ইতিহাস এর সত্যতা প্রমাণ করেছে। উর্দূ কবিদের মধ্যে তাকে নিয়েই সবচেয়ে বেশি লেখা হয়েছে। আধুনিক উর্দু গদ্যের জনক মির্জা গালিবের একটি সংক্ষিপ্ত জীবনী । মির্জা গালিব জীবনী বা জীবন কথা নিয়ে বা জীবন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।  মির্জা গালিব কে ছিলেন ? – মির্জা গালিব ছিলেন ভারতবর্ষে মোঘল-সম্রাজ্যের শেষ ও ব্রিটিশ শাসনের শুরুর দিকের একজন উর্দু এবং ফার্সি ভাষার কবি । সাহিত্যে তার অনন্য অবদানের জন্য তাকে দাবির-উল-মালিক ও নাজিম-উদ-দৌলা উপাধি দেওয়া হয়। মির্জা গালিব এর সময়কালে ভারতবর্ষে মোঘল সাম্রাজ্য তার ঔজ্জ্বল্য হারায় এবং শেষে ১৮৫...

দি ইন্ডিয়ান মুসলমানস / ডব্লিউ ডব্লিউ হান্টার

ছবি
দি ইন্ডিয়ান মুসলমানস ডব্লিউ ডব্লিউ হান্টার বাংলায়ণ : ডক্টর কুদরত উল ইসলাম মূল্য : ৩৫০/= ২৫% কমিশন বাদে মূল : ২৬২.৫০/=    উইলিয়াম উইলসন হান্টার বা ডাব্লিউ. ডাব্লিউ. হান্টার কেসিএসই, সিআইই (১৫ জুলাই ১৮৪০;– ৬ ফেব্রুয়ারি ১৯০০) ছিলেন ঊনবিংশ শতাব্দীর স্কটীয় ইতিহাসবিদ, পরিসংখ্যানবিদ, সংকলক ও ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসের সদস্য। তিনি সবচেয়ে বেশি পরিচিত দি ইম্পেরিয়াল গেজেটিয়ার অব ইন্ডিয়ার জন্য যেটি তিনি ১৮৬৯ সালে প্রবর্তন করেন এবং ১৮৮১ সাল অবধি নয় খণ্ড প্রকাশিত হয়েছিল। তাঁর মৃত্যুর পর আরো ২৬ খণ্ড পুনরায় প্রকাশিত হয়। লেখক হিসেবে তাঁর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক অবদান হলো দ্য ইন্ডিয়ান মুসলমানস্‌ গ্রন্থটি রচনা। জন্ম ও প্রাথমিক জীবন হান্টার স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে ১৮৪০ সালের ১৫ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা অ্যান্ড্রু হান্টার উৎপাদন শিল্পের সাথে জড়িত ছিলেন। মাতা-পিতার তিন পুত্রের মধ্যে হান্টার ছিলেন দ্বিতীয়। হ্যামশায়ারের কুইন্সউডে কোয়েকার সেমিনারীতে ১৮৫৪ সালে তার শিক্ষা জীবনের সূত্রপাত। এক বছর পর তাকে গ্লাসগো অ্যাকাডেমিতে ভর্তি করা হয়। হান্টার ১৮৬০ সালে গ্লাসগো বিশ্ববি...

শ্রেষ্ঠগল্প সমরেশ বসু

ছবি
   শ্রেষ্ঠগল্প সমরেশ বসু ভূমিকা : সরোজ বন্দ্যোপাধ্যায় মূল্য : ৪৫০/= ২৫% কমিশন বাদে মূল : ৩৩৭.৫০/=    খ্যাতিমান বাঙালি লেখক, ঔপন্যাসিক সমরেশ বসু। যাদের লেখনী বাংলা কথাসাহিত্যকে সমৃদ্ধ এবং পরিপকস্ফ করেছে, সমরেশ বসু সেই শীর্ষ সারির প্রতিভাবান লেখকদের একজন। বিচিত্র স্বাদের বহু উপন্যাসের জনক তিনি। বাংলা কল্পকাহিনিরও প্রথম সারির লেখক তিনি। তার রচনায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, শ্রমজীবী মানুষের জীবন, যৌনতাসহ বিভিন্ন অভিজ্ঞতার সুনিপুণ বর্ণনা ফুটে ওঠে। তার ছদ্মনাম ছিল কালকূট ও ভ্রমর। 'অমৃত কুম্ভের সন্ধানে', 'সাম্ব', 'কোথায় পাবো তারে'সহ অনেক উপন্যাস তিনি এ নামে লিখেছেন। 'কালকূট' ছদ্মনামে লেখা 'শাম্ব' উপন্যাসের জন্য তিনি ১৯৮০ সালে আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন। কথাসাহিত্যিক সমরেশ বসু ১৯২৪ সালের ১১ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জ জেলার রাজনগর গ্রামে পৈতৃক বাস্তুভিটায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবার নাম মোহিনী মোহন বসু। মায়ের নাম শৈবালিনী বসু। সমরেশ বসুর জন্মের সময় বাবার এক মাসিমা সদ্যোজাত সমরেশকে দেখতে এসে বলেছিলেন, 'এ যে তড়বড় কইরা আইয়া পড়ল'। বাবার দেওয়া নাম 'সুরথনাথ...